চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::
আজ ২৮ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরো প্রকল্প দেখবেন তিনি। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জানুয়ারি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে একটি জনসভা করার জন্য সফরসূচি নির্ধারণ হলেও আকাশে ঘন কুয়াশার কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার জন্য সময় নির্ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। স্থানীয়ভাবে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভাটি উপজেলা সদরের দিকে করার তৎপরতা চালালেও গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে জনসভা বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এসময় জেলার সংসদ সদস্য ছাড়াও শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত ও পেশা পরিবর্তন হওয়া লোকজন উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও নির্মিত হচ্ছে এনার্জি পাওয়ার সী–পোর্ট। ইতোমধ্যে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের অবকাঠামোগত ১৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে এ প্রকল্পের। এই পোর্ট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কোল পাওয়ারের কাজ দিয়ে শুরু হবে। তা পর্যায়ক্রমে বাণিজ্যিক সী–পোর্ট হিসাবে ব্যবহৃত হবে। দেশের এই বৃহৎ প্রকল্পের জন্য জাইকা ৫০ হাজার কোটি টাকা সহযোগিতা করেছে। ০.১০১ শতাংশ হার সুদে এই টাকা বিনিয়োগ করেছে জাইকা। এটি দেশের বাইরে জাপানের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ। মাতারবাড়ি ছাড়াও মহেশখালীতে আরো বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মিত হবে। ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এ সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে স্থানীয়দের অনেকের পেশার পরিবর্তন হবে। তাই বেকার সমস্যার সমাধানের জন্য এই এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার জন্য সরকারেরর নিকট দাবি জানিয়েছেন স্থানীরা।
পাঠকের মতামত: